বাংলার উমা : চিরাচরিত প্রথা ও ঐতিহ‍্য মেনে পূজিত হন দেবী রায় বাড়ির ঠাকুরদালানে

16th October 2020 12:24 pm হুগলী
বাংলার উমা : চিরাচরিত প্রথা ও ঐতিহ‍্য মেনে পূজিত হন দেবী রায় বাড়ির ঠাকুরদালানে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  হুগলীর ঐতিহ্যপূর্ণ বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে ধনেখালি‌ থানার দশঘড়া রায় পরিবারের পুজো অন্যতম। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই পুজো। বাংলাচলচ্চিত্রের বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে দশঘড়া রায় বাড়িতে। বাঞ্ছারামের বাগান, হীরের আংটি, বাড়িওয়ালী, জোড়াদিঘির চৌধুরী পরিবার, রুদ্র সেনের ডাইরির শুটিং হয়েছে এই বাড়িতে। সেই সময় বিপিন কৃষ্ণ রায় এই পুজোর সূচনা করেন। বর্তমানে ওনার পঞ্চম প্রজন্ম। এই পুজো পরিচালনা করছেন। ব্রিটিশ আমলে পাল পরিবার রায় উপাধি পায়। ধীরে ধীরে পাল পদবী বিলুপ্ত হয়ে রায়।  পরিবার নামে পরিচিত হয় এলাকায়। কর্মসূত্রে পরিবারের সদস্যরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। তবে পুজোর সময় সবাই পারিবারিক পুজোতে উপস্থিত হয়। 
এক সময় রায় বাড়িতে ৪-৫ টা উনুন জ্বালিয়ে মিষ্টি থেকে সমস্ত ধরনের  রান্না হতো। পুজোর চার দিন ৬০০-৭০০ জন খাওয়া-দাওয়া করতো। এখন শুধুমাত্র নবমীর দিন পরিবার পরিচিত প্রতিবেশী কয়েকজন খাওয়া-দাওয়া করেন। মহালয়ার দিন ঘট প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই বছর মল মাস বলে পুরোহিতের নির্দেশে তা পরিবর্তন হয়েছে। বলি প্রচলন ছিল। ২০০২ সালের পুজোতে এক অলৌকিক ঘটনায় বলি প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।‌ পুরোহিতদের বিধানে বলি প্রথার প্রচলন থাকলেও  বর্তমান প্রজন্মের সকলে বলিপ্রথার বিরুদ্ধে ছিল। বর্তমানে  সন্দেশ বলি দেওয়া হয়। প্রথামত বংশপরম্পরায় আজও গ্রামের যুবকরা প্রতিমা বিসর্জন দেন।
 সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পুজোর আরম্ভর কমলেও একচালা সাবেকি প্রতিমা আগের মতই নিষ্ঠার সাথে পুজো হয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।